December 23, 2024, 8:05 am
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আজ ৩০ মার্চ ২০২৩ তারিখ বৃহস্পতিবার সকাল ১১:০০ টায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে (১ কারওয়ান বাজার, টিসিবি ভবন-৮ম তলা, ঢাকা) আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তৈরি পোষাক/কাপড় ব্যবসায়ীগণের অংশগ্রহণে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ বিষয়ক মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জনাব এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকগণ, ডিজিএফআই এর প্রতিনিধি, এনএসআই এর প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি, আড়ং, আটিসান, অঞ্জনস, টপ টেন, লুবনান, নগরদোলা, রং বাংলাদেশ ইত্যাদি ব্র্যান্ডসহ বিভিন্ন কাপড়ের ব্যবসায়ীবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
উল্লেখ্য, মতবিনিময় সভাটি অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজে লাইভ সম্প্রচার করা হয়। অধিদপ্তরের পরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার স্বাগত বক্তব্যে বলেন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কাপড়ের গুণগত মান যেন ভাল থাকে এবং বিদেশি যারা আসে তাঁরা যেন কাপড়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারে। কাপড়ের প্রাইস ট্যাগ যেন ফ্যাক্টরিতে লাগানো হয়; শোরুম পর্যায়ে যেন প্রাইস ট্যাগ লাগানো না হয়। এর ব্যত্যয় হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সভায় অধিদপ্তর কর্তৃক কাপড়ের ক্ষেত্রে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে প্রাপ্ত অনিয়ম যথাঃ ঈদ উপলক্ষ্যে একই পোষাকের দাম অন্যান্য সময়ের তুলনায় বাড়িয়ে দেয়া, একটি পোষাকে বিভিন্ন দামের প্রাইজ ট্যাগ লাগানো, সিট কাপড়ের ক্ষেত্রে মিটারের পরিবর্তে গজের ব্যবহার, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, আসল বলে নকল কাপড় বিক্রি করা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এছাড়া রেডিমেইড গার্মেন্টস এর ক্ষেত্রে মোড়কের গায়ে MRP না লেখা, MRP ঘোষামাজা/কাটাকাটি করে বেশি মূল্য নির্ধারণ করা, পুরাতন মূল্যের উপর নতুন স্টিকার লাগিয়ে বেশী মূল্য নেয়া, ১০০% কটন ঘোষণা দিয়ে ১০০% কটন না দেয়া, কাটা ফাটা পোশাক বিক্রি করা এবং সময়মত exchange করে না দেয়া, ভোক্তাদের পেমেন্টের ক্ষেত্রে লম্বা লাইনে অপেক্ষমান না রাখা ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
বিভিন্ন কাপড়ের ব্রান্ডের প্রতিষ্ঠান থেকে আগত প্রতিনিধিগণ সভার আলোচনা থেকে প্রাপ্ত নির্দেশনা অনুসরণ করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন মর্মে জানান।
সভায় মহাপরিচালক অধিদপ্তর কর্তৃক কাপড়ের ক্ষেত্রে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে প্রাপ্ত অনিয়মের বিষয়ে ব্যবসায়ীগণকে সতর্ক করেন। তিনি বলেন বিদেশি পোষাক ও কসমেটিক্সের ক্ষেত্রে আমদানিকারকের নাম ও সীল থাকতে হবে এবং এমআরপি আমদানিকারক কর্তৃক প্রদেয় হতে হবে। নকল পণ্যের বিষয়েও তিনি ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক করেন এবং এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মহাপরিচালক আলোচনায় বলেন অনেক সময় দেখা যায় পাশ্ববর্তী দেশগুলো থেকে কিছু বিক্রয়কারী আমাদের দেশে এসে বাসা ভাড়া নিয়ে ভিতরে ভিতরে টার্গেট কাস্টমারের কাছে বিদেশি কাপড় বিক্রয় করছে। এই ধরনের কার্যক্রম দেশীয় ফ্যাশন হাউজ গুলোকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। এক্ষেত্রে তথ্য গুলো আমাদের কাছে দেওয়া হলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা চাই সবাই আইন মেনে ব্যবসা করুক এবং ভোক্তাগণ যেন ন্যায্য মূল্যে পণ্য পান। শপিংমল গুলোতে অনিয়ম পেলে মার্কেট কমিটিকে দায়ী করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরে কাপড়ের ব্যবসায়ীগণ মূল্য ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ভোক্তাদের স্বস্তি দিবেন এ আশাবাদ ব্যক্ত করে এবং উপস্থিত সকলকে ধনবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।